প্রতিবেদক : ফাঃ রবার্ট গনসালভেছ

১৭৬৩ খ্রীঃ থেকে পরবর্তী সুদীর্ঘ সময়ে বৃটিশ শাসক শ্রেনী পোশাক বানিজ্যের সুবাধে সাহেবগঞ্জ এলাকায় রাজকীয় পরিবেশে কুঠি বাড়ী ও ঘোড়াশাল ও নিরাপত্তার দুর্গ গড়ে তুলে নীলচাষ ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। বৃটিশদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার পাশেই বর্তমান ডি সিলভাদের বসতি ও পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীতে স্বর্গীয় ফাঃ ডেন কেনার্ক সিএসসি গীর্জা প্রতিষ্ঠা করে সাধু যোসেফের নামে উৎসর্গ করেন। গত ১৯ শে মার্চ ২০১৮খ্রীঃ এখানে ভক্তি শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে এ পর্বটি উৎসব ও নব জাগরণের আনন্দে পালন করে।

পর্বের প্রস্তুতি চলাকালে সাধু যোসেফের নভেনা প্রতিটি বাড়িতে পালন করে পর্বের দিন শোভাযাত্রা করে গীর্জায় প্রবেশ করে। সেখানে সাধু যোসেফের প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য, মোমবাতি প্রজ্জলন ও ধুপারতি দেওয়া হয়। পবিত্র খ্রীষ্টযাগে ফাঃ রবার্ট গনসালভেছ সাধু যোসেফের বিষয়ে বলেন যে, তিনি স্বপ্ন দেখে যথাযথ কাজ করে নীরবতায়, বাধ্যতায় ও বিন¤্র শ্রদ্ধায় পরম পবিত্র ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করেছেন। কুমারী মাতা মারীয়াকে ও শিশু যীশুকে নিষ্কাম ভালোবাসায় আলিঙ্গন করে নিরাপদে ও শান্তিতে রেখেছেন। সাধু যোসেফ পরিবারের প্রতিপালক, বিশ্বাসী খ্রীষ্ট ভক্তদের প্রতিপালক, গীর্জার প্রতিপালক ও যারা স্বামী স্ত্রী হয়ে সন্দেহে আক্রান্ত তাদেরও প্রতিপালক।

খ্রীষ্টযাগের শেষে সবাই প্রতিপালক সাধু যোসেফের প্রতিকৃতির সামনে ভক্তি ও প্রনিপাত করে আশির্বাদ গ্রহন করেন। এবারে সাধু যোসেফের পর্ব পালনে বৃহত্তর পরিমন্ডলে ঢাকা, চট্টগ্রামে বসবাসরত সাহেগঞ্জের আত্মীয়স্বজন যথেষ্ট হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা করেছেন। দুপুরে সবাই সামাজিক অংশগ্রহনে ছেলে-মেয়েদের নাচ গান ও কবিতা উপভোগ করেন। শেষে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে একসাথে সবাই দুপুরের খাওয়া গ্রহণ করে। এবার উৎসবে বিথী ডিসিলভা, বার্নাড ডিসিলভা ও যোহন ডি সিলভা দায়িত্ব পালন করে।